কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ হোস্টেল
কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা প্রসারে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান । নারীশিক্ষার ধারক হিসেবে তা অতুজ্জ্বল। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন জেলা প্রশাসক আজিজুল জলিল (সিএমপি) এবং মুহা: আব্দুর রহিম সিনিয়র এডভোকেট (প্রাক্তন সংসদ সদস্য), কুষ্টিয়া কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও উপাধ্যক্ষ সিএমজি জাকারিয়া প্রমুখের সহযোগিতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রূপে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ স্থাপিত হয়। সেহেত গালস কলেজ তাই স্বাভাবিকভাবে ছাত্রী হোস্টেল এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, এন.এস রোড সংলগ্ন বর্তমান বাটা সু স্টোর এর দ্বিতীয় তলায় কতগুলো কক্ষ ছাত্রীবাস করা হয়। পরবর্তী ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ১৬ সেপ্টেম্বর আজিজুল জলিল ছাত্রীদের আবাসনের জন্য বেগম রোকেয়া হোস্টেল উদ্বোধন করেন। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ২ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ সোহরাব উদ্দিন মাননীয় সংসদ সদস্য কুষ্টিয়া ৩ আসন চারতলা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট তাপসী রাবেয়া হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৫ – ২০০৬ অর্থবছরে চার তলা বিশিষ্ট তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হোস্টেলের নির্মাণকাজ শেষ হয়। এবং ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ১৬ আগস্ট জনাব মো এনামুল হক মিলন এমপি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে তাপসী রাবেয়া হোস্টেলে ছাত্রীদের আবাসনের জন্য চব্বিশটি কক্ষ, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন, রাঁধুনিদের আবাসনের জন্য একটি কক্ষ, ছাত্রী কমনরুম বিনোদনের জন্য টিভি ও পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে । এছাড়া বেগম রোকেয়া হোস্টেল ছাত্রীদের আবাসনের জন্য ৩২ টি কক্ষ, একটি নামাজের কক্ষ, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন, রাঁধুনিদের আবাসনের জন্য একটি কক্ষ, বিনোদনের জন্য টিভি পত্রিকা সহ হোস্টেলের মধ্যে মুজিব উদ্যান ও শেখ রাসেল পার্ক আছে। দুইটি হোস্টেল প্রায় ৩০০ জন ছাত্রী আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে মোছা: রাজিয়া খাতুন সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, হোস্টেল সুপার এবং মো: এহসানুজ্জামান, শরীরচর্চা শিক্ষক এবং মো: কবিরুল ইসলাম, প্রদর্শক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ সহকারি হোস্টেল সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া দুইটি হোস্টেলে পাঁচজন রাঁধুনি, একজন নৈশপ্রহরী, একজন দিবা প্রহরী ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী সহ মোট ৮ জন কর্মচারী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে।