Back
HomeAbout KMC

কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নারী শিক্ষার প্রসারে পঞ্চাশ বছরেরও অধিককাল এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কলেজের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও কার্যক্রম, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে সহায়ক হয়েছে। ক্রমেই এর পরিসর হচ্ছে ব্যাপকতর, কর্মপরিধি হচ্ছে বিস্তৃত। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনপ্রসূত বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভের পর সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। অন্যান্য অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়ার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ ও নেতৃবৃন্দ মেয়েদের জন্য একটি স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক গণসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এমতাবস্থায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রফিকুল হক, তৎকালীন জেলা প্রশাসক আজিজুল জলিল (সিএসপি) এবং মুহা. আব্দুর রহিম সিনিয়র অ্যাডভোকেট (প্রাক্তন সংসদ সদস্য), কুষ্টিয়া কলেজের (বর্তমান সরকারি কলেজ) গণিত বিভাগের শিক্ষক ও উপাধ্যক্ষ সিএমজি জাকারিয়া প্রমুখের সহযোগিতায় ১৯৬৬ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানরূপে ‘কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ’ স্থাপিত হয়। সমসাময়িক ছাত্রীদের লেখাপড়া চালু রাখার প্রয়োজনে নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড সংলগ্ন (বর্তমান রাম-রতন-শাহ আলম চত্বরের উত্তর দিকে) পুরনো বাড়ি রিকুইজিশনের মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে নামমাত্র ভাড়া নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বাড়িটি দীর্ঘদিন যাবৎ জয়েন্ট ডেপুটি কমিশনারের (রাজস্ব) অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সচেতন অভিভাবকবৃন্দ মেয়েদের ভর্তি করলে ক্রমেই লেখাপড়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান ও মানবিক) এবং ডিগ্রি কোর্স চালুর মধ্য দিয়ে কলেজের ক্লাস শুরু হয়। সিএমজি জাকারিয়া প্রথম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন এবং উপাধ্যক্ষ ছিলেন ফিরোজা বেগম। এ সময় কলেজকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে আনার ব্যাপারে বিভিন্ন মহল সাড়া দেয়। এজন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘কলেজ উন্নয়ন প্রকল্প ১৯৬৪-১৯৬৮’ এর আওতায় কুষ্টিয়া শহরের বর্তমান স্থানে ৪.৬০ একর জমির ওপর ১৯৬৭ সালে কলেজটি স্থাপিত হয়। এখানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অফিস, ছাত্রী হোস্টেল, লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়। ১৯৯৮-১৯৯৯ অর্থবছরে প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের সহযোগিতায় কলেজটির চারদিকে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৭ মে কলেজ সরকারিকরণ হলে নামকরণ করা হয় ‘কুষ্টিয়া সরকারি গার্লস কলেজ’। ১৯৯৬ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় বিজ্ঞান বিভাগ নির্মাণোত্তর সময়ে ক্লাসগুলো জাকারিয়া ভবন, বিজ্ঞান ভবন ও কলাভবনে নেওয়া হয়। ওই সময় থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর শিক্ষাবোর্ড ও অন্যান্য অফিশিয়াল প্রমাণপত্রে কলেজের নামকরণ হয় ‘কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া’।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় চালু রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে একাদশ শ্রেণিতে ওয়েবসাইটভিত্তিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কলেজটিকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং অর্থনীতি বিভাগের অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে ৭টি বিষয়ে অনার্স কোর্স ও তিনটি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চলমান রয়েছে। কলেজের লাইব্রেরি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রায় ৫০ জন শিক্ষক ও ৫০ জন কর্মচারী সম্পৃক্ত রয়েছে। প্রায় ৪০০০ ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের রেজাল্ট বরাবরই আশাব্যঞ্জক। দরিদ্র মেধাবী ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রীদের থাকার জন্য রয়েছে তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হোস্টেল ও বেগম রোকেয়া ছাত্রী হোস্টেল। কলেজটিকে সিসিটিভি- এর আওতায় আনা হয়েছে। রয়েছে সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, চিঠিপত্র, বিজ্ঞপ্তি, রেজাল্ট তথা যাবতীয় বিষয়কে অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। পড়ালেখার মান যাচাইয়ের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েকবার কলেজটিকে পুরস্কৃত করেছে। কলেজে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ, মুজিব উদ্যান, বঙ্গমাতা প্রমীলা ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও শেখ রাসেল পার্ক।

Recent news

দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড

বিভাগওয়ারী রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড: ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড বিজ্ঞান বিভাগ রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড মানবিক বিভাগ রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড

মোঃ আরিফ হামিম, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি এর আন্তর্জাতিক অফিসিয়াল পাসপোর্ট পুনঃপ্রদানের জন্য বিভাগীয় অনাপত্তিপত্র।

মোঃ আরিফ হামিম, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি এর আন্তর্জাতিক অফিসিয়াল পাসপোর্ট পুনঃপ্রদানের জন্য বিভাগীয় অনাপত্তিপত্র।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২০২৪

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২০২৪